বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে সোপর্দের পর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল আলমকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ বদরুল আলমকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বদরুল আলম কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা গ্রামের বাসিন্দা।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গতকাল শনিবার গভীর রাতে কটিয়াদী পৌর শহরের একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কটিয়াদী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর পরই বদরুল আলম নিজে তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেন "কোনো মামলা ছাড়াই আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো। আল্লাহ ভরসা।"
স্থানীয়রা জানান, বদরুল আলম কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। তিনি কটিয়াদী রক্তদান সমিতির সমন্বয়ক হওয়ায় বেশিরভাগ সময় তাঁকে সামাজিক কর্মকাণ্ড করতে দেখা যেত। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
এ বিষয়ে কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, "বদরুল আলমের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় কোন মামলা নেই। কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার দুপুরে সদর থানা পুলিশের কাছে বদরুল আরমকে হস্তান্তর করা হয়।"
সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "বদরুল আলমকে ছাত্র-জনতার উপর হামলার একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।"